ত্রিফলা কি? ত্রিফলার জলের উপকারিতা গুলো কি কি দেখুন

আমার ওয়েবসাইটে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম জানিয়ে শুরু করছি। আপনি কি জানেন ত্রিফলার জলের উপকারিতা সম্পর্কে? এবং ত্রিফলার উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি? তা কি জানেন? জানেন না তো! তাহলে চলুন জেনে আসি যে ত্রিফলা কি? 

ত্রিফলার জলের উপকারিতা এবং ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম

আপনি যদি কিছু সময় ব্যয় করে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে আপনাদের অনেক উপকার হবে। কেননা আমরা আপনাদের জন্য ত্রিফলার জলের উপকারিতা এবং ত্রিফলার উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো।

পোস্ট সূচিপত্র

ত্রিফলার উপকারিতা ও অপকারিতা

ত্রিফলা একটি প্রাচীন ঔষধি পদ্ধতি যা শতবর্ষ ধরে প্রযোজ্য আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি তিনটি ফলের সমন্বয়ে তৈরি হয়: আমলকী (এমব্লিকা অফিসিনালিস), বিভিতকী (টার্মিনালিয়া বেলিরিকা), এবং হরিতকী (টার্মিনালিয়া ছেবুলা)। নিম্নলিখিত হল ত্রিফলার উপকারিতা ও অপকারিতা।

ত্রিফলার জলের উপকারিতা

হজমের স্বাস্থ্য: ত্রিফলা তার হজম উপকারিতার জন্য বিখ্যাত। এটি অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে, কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম করতে এবং সামগ্রিক গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল স্বাস্থ্যকে উন্নীত করতে সহায়তা করে।

  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য: ত্রিফলার তিনটি ফলের সংমিশ্রণ শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রভাব প্রদান করে, যা ফ্রি র্যাডিক্যালকে নিরপেক্ষ করতে এবং শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
  • ডিটক্সিফিকেশন: ত্রিফলা শরীরের প্রাকৃতিক ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে, শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ এবং বর্জ্য পদার্থ অপসারণে সহায়তা করে।
  • মৌখিক স্বাস্থ্য: ত্রিফলা ফলক গঠন হ্রাস করে, মাড়ির রোগ প্রতিরোধ করে এবং শ্বাস সতেজ করে মৌখিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে।
  • ওজন ব্যবস্থাপনা: কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে যে ত্রিফলা মেটাবলিজমের উন্নতি এবং স্বাস্থ্যকর হজমকে সমর্থন করে ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।

ত্রিফলার অপকারিতা

  • গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অস্বস্তি: কিছু ব্যক্তির মধ্যে, বিশেষ করে যখন উচ্চ মাত্রায় বা দীর্ঘ সময়ের জন্য গ্রহণ করা হয়, ত্রিফলা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অস্বস্তির কারণ হতে পারে যেমন ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা বা ফোলাভাব।
  • সম্ভাব্য ওষুধের মিথস্ক্রিয়া: ত্রিফলা নির্দিষ্ট ওষুধ বা সম্পূরকগুলির সাথে যোগাযোগ করতে পারে, বিশেষ করে যেগুলি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল গতিশীলতা বা শোষণকে প্রভাবিত করে। আপনি যদি কোনও ওষুধ গ্রহণ করেন তবে ত্রিফলা ব্যবহার করার পূর্বে একজন ডাক্তারের সাথে আলোচনা করবেন
  • অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া: যদিও বিরল, কিছু ব্যক্তির মধ্যে ত্রিফলার অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া জানা গেছে। লক্ষণগুলির মধ্যে চুলকানি, ফুসকুড়ি বা শ্বাস নিতে অসুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। আপনি যদি কোনও অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া অনুভব করেন তবে ব্যবহার অফ করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
  • গর্ভাবস্থা এবং বুকের দুধ খাওয়ানো: গর্ভাবস্থা এবং বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় ত্রিফলার সুরক্ষা ভালভাবে অধ্যয়ন করা হয়নি। ত্রিফলা ব্যবহার করার আগে গর্ভবতী বা বুকের দুধ খাওয়ানো মহিলাদের সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার এবং একজন ভালো ডাক্তারের সাথে আলোচনা করা উচিত।

সামগ্রিকভাবে, ত্রিফলা অসংখ্য স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে, বিশেষ করে হজমের স্বাস্থ্য এবং ডিটক্সিফিকেশনের জন্য। যাইহোক, যেকোনো সম্পূরকের মতো, এটি দায়িত্বের সাথে এবং একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর নির্দেশনায় ব্যবহার করা অপরিহার্য।

ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক সময়

ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক সময় নিয়মিত এবং সঠিক পরিমাণে হওয়া উচিত। এটি প্রায়ই উপভোগ করা যায় খাওয়ার আগে বা খাওয়ার পরে। ত্রিফলা খাওয়া একটি পুরাতন ঔষধ পদার্থ এবং এর ব্যবহারের ধারাবাহিকতা অনেক পুরাতন হওয়ার কারণে এর ব্যবহারের সঠিক সময় নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

  • সকালে খাওয়া: ত্রিফলা খাওয়া সকালের খাবারের সাথে খাওয়া প্রচুর স্বাস্থ্যকর। এটি আপনার দিনটি শুরু করতে সাহায্য করে এবং আপনার শরীরের উচ্চ শক্তি স্তর বজায় রাখে।
  • খাওয়ার সময়: মাধ্যমিক সময় পর্যন্ত ত্রিফলা খাওয়া উচিত, যা অপারেশনের জন্য সহজসাধ্য হয়। সামান্য ত্রিফলা চূর্ণ দ্বারা ত্রিফলা খেয়ে আপনি আপনার রক্তের বায়ু প্রবাহ বাড়াতে পারেন এবং মেমরীর চর্চা ও মনোযোগ বাড়িয়ে তুলতে পারেন।
  • খাওয়ার পরের সময়: অধিকাংশ মানুষ রাতে খাওয়া খাবার অনেক সময় দ্বারা প্রস্তুত করতে চান এবং ত্রিফলা খাওয়ার পরে তাদের পাচন প্রক্রিয়া একটি স্বাভাবিক পদবিশেষ হয়। যেহেতু ত্রিফলা বিশেষত পাচন সময়ে উপভোগ করা উচিত, তাই এটি রাতের খাবারের সাথে খেয়ে নিতে পারেন

ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম
  • মাত্রা: স্বাস্থ্যকর ফলাফল পেতে প্রতিদিন এক চা-চামচ ত্রিফলা চূর্ণ খাওয়া উচিত।
  • সময়: সর্বোপরি সকালের নিয়মিত খাবারের সাথে খেতে উচিত। ত্রিফলা খাওয়ার আগে বা খাওয়ার পরে ১ ঘণ্টা পর অন্য খাবার খাওয়া উচিত নয়।
  • সংলগ্ন খাবার: ত্রিফলা চূর্ণ কার্যকরভাবে গরম পানি বা মৃদু গরম দুধে মিশিয়ে খাওয়া উচিত। এটি মিষ্টির সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
  • প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা: ত্রিফলা চূর্ণ প্রতিদিন নিয়মিতভাবে খাওয়া উচিত, এটি দ্বিতীয় বা তৃতীয় মহাশক্তি বাড়ানোর জন্য সহায়ক।
  • পরামর্শ: যদি আপনি কোনও ধরনের নির্ণয় না নিয়ে ত্রিফলা চূর্ণ খাওয়ার সম্পর্কে, তাহলে প্রথমে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে ভুলবেন না।

ত্রিফলার জলের উপকারিতা

  • পাচন সম্প্রসারণে সাহায্য: ত্রিফলা চূর্ণের ব্যবহার পাচন সম্প্রসারণে সাহায্য করে এবং পাচন সমস্যার চিকিৎসায় প্রভাবশালী। এটি পাচনতত্ত্বের গতি বাড়ায় এবং অতিরিক্ত অম্লের নির্গমন সাহায্য করে যা পাচনের প্রক্রিয়াকে মজবুত করে।
  • ব্যথা ও অস্বস্তির উপশমনে: ত্রিফলা চূর্ণের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো তা শারীরিক ও মানসিক ব্যথা বা অস্বস্তির উপশমনে সাহায্য করা। এটি মানসিক চিন্তার প্রভাব নির্মূল করে এবং স্থানীয় ব্লাড ফ্লো বাড়ায় যা মাথা, হাত ও পায়ের অস্থি ও ক্যারিডিজের সঠিক পরিবাহ সাহায্য করে।
  • মেমরি ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি: ত্রিফলা চূর্ণের ব্যবহার মেমরি এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি মেমরি বাড়ায়, ধ্যান বাড়ায় এবং মানসিক সমৃদ্ধি উন্নত করে।
  • অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি সম্প্রসারণ: ত্রিফলা চূর্ণের ব্যবহারের মাধ্যমে শরীরের অস্থি সংস্কার বা সান্ধ্যক্ষেপন যান্ত্রিক দৃঢ়তা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ বৃদ্ধি পায়।

ত্রিফলার উপকারিতা   

ত্রিফলা একটি ঐতিহাসিক চিকিৎসায় মূলত ব্যবহৃত পুরো ঔষধ যা বিভিন্ন ধরনের ভারসাম্য বিশেষত আমলকি, বিভিন্ন গুনসম্পন্ন ত্রিফলা এবং ভর্ণগীরাজ থেকে তৈরি হয়ে থাকে। ত্রিফলা একেবারে অধিক উপকারিতা রেখে থাকে যাতে স্বাস্থ্যকর ফলাফল প্রাপ্ত হয়। ত্রিফলা খাওয়ার উপকারিতাগুলির মধ্যে পাচন সম্প্রসারণে সাহায্য, ব্যথা ও অস্বস্তির উপশমন, মেমরি ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি সম্প্রসারণ ও শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য।
এছাড়া, ত্রিফলা প্রতিরোধী প্রতিকোন প্রতিরোধ বৃদ্ধি করে যা শরীরকে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে কার্যকারিতা অধিক করে। এছাড়া, ত্রিফলা মিশ্রণে থাকা প্রধান উপাদান আমলকি বিশেষত স্বাস্থ্যকর ফলাফল প্রদান করে, যা শরীরের প্রতিরোধশীলতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ বৃদ্ধি করে।
সুতরাং, ত্রিফলা একটি প্রাকৃতিক এবং সহজ উপাদান যা স্বাস্থ্যকর ফলাফল প্রদান করে এবং প্রতিদিনের জীবনে যুক্ত করা যেতে পারে এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা উন্ন

ত্রিফলা কতদিন খাওয়া যায় 

ত্রিফলা খাওয়ার সম্পর্কে নিয়মিত একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক দিনের জন্য কোনো সুপারিশ নেই। তবে, বহুল পরিমাণে প্রতিদিন ত্রিফলা খেতে একেবারে সুপারিশ দেওয়া হয়। সাধারণত, সকালের খাবার অথবা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি বা দুধে ত্রিফলা চূর্ণ মিশিয়ে খেতে সুপারিশ করা হয়।
ত্রিফলা কতদিন খাওয়া যায়

এটি ধরা যাক, ত্রিফলা একটি প্রাকৃতিক উপাদান, তাই এর সম্প্রদায়ে কোনো বিশেষ অপচয় বা দুষ্প্রভাব নেই। তবে, যদি কেউ কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা বা প্রতিনিয়ত নিয়মিত ঔষধ গ্রহণ করছেন তাহলে তাদেরকে প্রথমে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। তারাও মনে রাখতে পারেন যে, ত্রিফলা ব্যবহারে বেশি পরিমাণের চাহিদা নির্মূল করতে পারে সাধারণত কোনো ক্ষতি হয় না। তবে যেকোনো অতিরিক্ত ব্যবহারের ক্ষেত্রে বা যদি কোনো ব্যক্তির স্বাস্থ্যসম্পর্কে যেকোনো সন্দেহ থাকে তাহলে তাদেরকে নিজেদের ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

ত্রিফলা তৈরির নিয়ম

ত্রিফলা তৈরির নিয়ম অনেক সহজ এবং সম্পর্কিত উপাদানগুলি সহজলভ্য। এটি বিভিন্ন ভাগের গুণাবলীতে বিভাজিত হতে পারে, যা ত্রিফলা চূর্ণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ত্রিফলা তৈরির উপাদানগুলি সাধারণত তিনটি হল:
  • আমলকি (আমলকা): আমলকি ত্রিফলা মিশ্রণের প্রধান উপাদান। এটি মুখ্যতঃ ভিটামিন C এবং এন্টিঅক্সিডেন্টস সহ বিভিন্ন পুষ্টির উৎস হিসেবে পরিচিত।
  • হরিতকি: এটি ত্রিফলা চূর্ণের দ্বিতীয় প্রধান উপাদান। এর ব্যবহার করা হয় রোগ প্রতিরোধের জন্য এবং ডায়রিয়া, কাষ্ঠ ও গ্রন্থিরোধে উপকারী হিসেবে।
  • ভরৃঙ্গরাজ: এটি ত্রিফলা চূর্ণের তৃতীয় প্রধান উপাদান এবং প্রজাপতি বা বোতানিক্যাল পরিচ্ছন্নতা এবং শক্তি বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হয়।
ত্রিফলা চূর্ণ তৈরি করতে, আপনার প্রতিটি উপাদান সমান অংশে মিশ্রিত করা হয় এবং একটি মিক্সারে ভালো করে ঘষা হয়। ধরে নিন যে ত্রিফলা চূর্ণ সমান অংশে মিশ্রিত হলে সেটি সবচেয়ে কার্যকর হয়।

ত্রিফলা চূর্ণ উপকারিতা   

এখন যানবেন ত্রিফলা চূর্ণ উপকারিতা সম্পর্কে। ত্রিফলা চূর্ণ হলো একটি অমূল্য নামুদার আয়ুর্বেদিক পদার্থ, যা একাধিক গুণের একটি ভালো উপাদান ধারণ করে। এটি তিনটি প্রাকৃতিক উপাদান - আমলকী, বিহীতকি ও হরিতকি - মিশ্রিত হয়ে তৈরি হয়েছে। ত্রিফলা বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং তার উপকারিতা অমূল্য হতে পারে।
  • ডাইজেস্টিভ হেলথে মাধুরী: ত্রিফলা চূর্ণ পাচনের প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং অত্যন্ত কার্যকরী ডাইজেস্টিভ এইড হিসেবে কাজ করে।
  • মূত্রনালীর পরিস্কারতা এবং সুষমতা: ত্রিফলা চূর্ণ মূত্রনালীতে পরিস্কারতা এবং সুষমতা বজায় রাখে এবং যত্ন নেওয়া যেতে পারে যাতে কোন ধরনের সমস্যা হতে না পারে।
  • জ্বর ও মানসিক সমস্যার চিকিৎসা: ত্রিফলা চূর্ণের বিশেষ উপাদান রয়েছে যা জ্বর এবং মানসিক সমস্যার সাথে মেলানোকারী।
  • শরীরের বল ও তন্তুসংক্রান্ত ক্ষমতা: ত্রিফলা চূর্ণ স্বাস্থ্যকর বলোকে বৃদ্ধি করে এবং তন্তুসংক্রান্ত সমস্যার চিকিৎসা করতে সহায়ক।

ত্রিফলার দাম কত

বর্তমানে বাজারে ত্রিফলা চূর্ণের মূল্য প্রতি কেজি বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যায়। তার মূল্য বিভিন্ন বেশি কারণ সামগ্রিক মার্কেট নিয়ম এবং সরবরাহের উপলব্ধির উপর নির্ভর করে। প্রতিটি বাজারের ত্রিফলা চূর্ণের মূল্য ভিন্ন হতে পারে, যেমন একটি স্থানীয় বাজারে ত্রিফলা চূর্ণের মূল্য একটি অন্য প্রদত্ত বাজারের মূল্যের চেয়ে বেশি হতে পারে।
তারপরও, সাধারণত ত্রিফলা চূর্ণের দাম প্রতি কেজি সরাসরি মুল্যে হলেও, আপনার অবস্থান, কার্যকারিতা এবং বিক্রেতার উত্স এর উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
ত্রিফলা চূর্ণ বিক্রয়ের মূল্য প্রতি কেজি বিভিন্ন পরিমাণ এবং গুণগত মান অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে, তবে সাধারণত এর দাম প্রতি কেজি প্রায় ১০০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
তবে, আপনার অনুমান প্রদান করা কঠিন হতে পারে কারণ ত্রিফলা চূর্ণের মূল্য বিভিন্ন উদ্ভিদ প্রস্তুতি, মান, ওজন এবং বিক্রেতার অফার এর উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।

ত্রিফলা চূর্ণ হামদর্দ

হ্যাঁ, ত্রিফলা চূর্ণ হামদর্দে অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। ত্রিফলা চূর্ণের বিভিন্ন উপাদানের যোগে এটি হামদর্দে উপকারী হতে পারে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো: 
ত্রিফলা চূর্ণ হামদর্দ
  • ডাইজেস্টিভ সিস্টেমে সাহায্য: ত্রিফলা চূর্ণ পাচনের সমস্যার সাথে সাথে সম্পূর্ণ প্রণিধান সরবরাহ করে এবং হামদর্দের উপশমক হিসেবে কাজ করে।
  • পিত্ত নির্মাণে সাহায্য: ত্রিফলা চূর্ণ পিত্ত নির্মাণে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত পিত্ত প্রস্রাবে ব্যবহার করে, যা হামদর্দ ও অন্যান্য পাচনসম্বন্ধীয় সমস্যাগুলি মোকাবিলা করে।
  • অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি গুণ: ত্রিফলা চূর্ণের বিশেষ উপাদানগুলি এনটি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ বৃদ্ধি করে, যা হামদর্দ ও পাচনাসম্বন্ধীয় অসুবিধার সামনে প্রতিরোধ করে।
  • এন্টিসেপ্টিক প্রভাব: ত্রিফলা চূর্ণের কিছু উপাদান এন্টিসেপ্টিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা অসুখের সাথে লড়াইয়ে দাঁড়ায় এবং হামদর্দ সহজে উপশম হয়ে যায়।
  • প্রকোষ্ঠ শক্তিশালী করে: ত্রিফলা চূর্ণের বিশেষ উপাদানগুলি প্রকোষ্ঠ শক্তিশালী করে এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করে যাতে হামদর্দ এবং অন্যান্য পাচনসম্বন্ধীয় অসুবিধার ঝুঁকি কমে।
তাই, ত্রিফলা চূর্ণ হামদর্দে প্রয়োজনীয় সহায়ক হতে পারে এবং এটি সাধারণত প্রকোষ্ঠ সম্পর্কিত অসুবিধার চিকিত্সায় ব্যবহার করা হয়।

ত্রিফলা চূর্ণের হামদর্দ নিরাময় করুন

ত্রিফলা চূর্ণ একটি প্রাকৃতিক পদার্থ যা অধিকাংশে হামদর্দে প্রভাবশালী হতে পারে। এটি এন্টিইনফ্ল্যামেটরি এবং প্রাকৃতিক প্রতিশব্দকর গুণগুলির সমৃদ্ধ উৎস। এই চূর্ণ হামদর্দের সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করতে পারে এবং এটি স্থায়ী রোগীদের জন্য একটি সহায়ক পদার্থ হতে পারে।
হামদর্দ সমস্যার জন্য ত্রিফলা চূর্ণের কিছু উপকারিতা হলো:
  • পাচনার সুষমতা উন্নতি: ত্রিফলা চূর্ণ পাচনার সুষমতা উন্নত করে এবং অতিরিক্ত পিত্ত প্রস্রাবে ব্যবহার করে, যা হামদর্দ ও অন্যান্য পাচনসম্বন্ধীয় সমস্যাগুলি মোকাবিলা করে।
  • অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি গুণ: এটি এনটি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ বৃদ্ধি করে, যা হামদর্দ ও পাচনাসম্বন্ধীয় অসুবিধার সামনে প্রতিরোধ করে।
  • পিত্ত নির্মাণে সাহায্য: ত্রিফলা চূর্ণ পিত্ত নির্মাণে সাহায্য করে এবং হামদর্দের কারণে উত্তেজনা না হওয়ার জন্য প্রস্তুত করে।
  • প্রকোষ্ঠ শক্তিশালী করে: এটি প্রকোষ্ঠ শক্তিশালী করে এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করে যাতে হামদর্দ এবং অন্যান্য পাচনসম্বন্ধীয় অসুবিধার ঝুঁকি কমে।
ত্রিফলা চূর্ণ স্থায়ী হামদর্দের সমস্যার জন্য একটি প্রাকৃতিক এবং কার্যকরী পথ হতে পারে যা অনেকেই পছন্দ করেন।

সমাপ্তি

উপসংহারে, আসা করি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক কিছু জানতে পেরেছেন যে ত্রিফলার উপকারিতা ও অপকারিতা, ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক সময়, ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা, ত্রিফলার জলের উপকারিতা, ত্রিফলার উপকারিতা, ত্রিফলা কতদিন খাওয়া যায় , ত্রিফলা তৈরির নিয়ম.

ত্রিফলা চূর্ণ উপকারিতা, ত্রিফলার দাম কত, ত্রিফলা চূর্ণ হামদর্দ এই সকল বিষয় জানার পরে আসা করি আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। সর্বদা হিসাবে, আপনার খাদ্যে কোন পরিবর্তন করার আগে একজন স্বাস্থ্যসেবাকে পরামর্শ দেওয়া ভাল।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নিউয়েস্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url